রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের মিঠাপুকুরে দ্বিতীয় বিয়ের ফাঁদে ফেলে এক নারীকে নিঃস্ব এবং প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামীর বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী এক নারী।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিযুক্ত স্বামীকে হত্যাকারী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান ওই নারী।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার বলদিপুকুর বাসস্ট্যান্ডে তার ভাতের হোটেল ছিল। ভাতের হোটেল চলাকালীন সময়ে ওই নারীর কাছে শালাইপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মো. লিয়াকতের ছেলে আলু ব্যবসায়ী তহিদুল ইসলাম (৪০) আর্থিক লেনদেন করেন। লেনদেনের এক পর্যায়ে তহিদুল ইসলাম ওই নারীর কাছে মোটা অংকের টাকা ধার নেন। ধারের টাকা দিতে না পেরে একপর্যায় ওই নারীকে দ্বিতীয় বিয়ের প্রলোভণ দেখান। প্রথমে ওই নারী তোহিদুলকে বিয়ে করতে না চাইলে বিভিন্ন অপবাদের কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য হন।
দ্বিতীয় বিয়ের পর ওই নারীকে নিজের বাড়িতে প্রথম স্ত্রী থাকায় না নিয়ে তার বাবার বাড়িতে রাখেন। নারীর বাবার বাড়িতে রেখে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে দফায় দফায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা হাতিয়ে নেওয়া ছাড়াও নারীর জমি চাষবাদ, গরু বিক্রি, বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন উত্তোলন করান।
এরই মধ্যে গত (১৪ ফ্রেব্রুয়ারি) তোহিদুলের প্রথম স্ত্রী রুমানা বেগম স্বামীর নিজ বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। প্রথমে এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে তোহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও বিভিন্ন কৌশলে দূর্ঘটনা বলে ধামাচাপা দেন তোহিদুল।
সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, তোহিদুল পরকীয়া সম্পর্কে যুক্ত। তার অর্থের লোভে তাকে বিয়ে করেছে। টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে মারধরসহ যৌতুকের জন্য চাপ দেন। তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা চালানোর সময় তোহিদুল তার প্রথম স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তার বিচার দাবি করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত তোহিদুলের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে প্রথম স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি জানা নেই।
Leave a Reply