ডিমলা (নীলফামারী), নিজস্ব প্রতিনিধি:
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও নাউতারা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে চলাচলকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, যা ডিমলা নিজপাড়া, খানাবাড়ি, ধারাবেটারী ও ঝাড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য প্রধান চলাচলের পথ, বর্তমানে জরুরি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের একমাত্র প্রধান চলাচলের পথ এই রাস্তা বর্ষাকালে পানিতে তলিয়ে গিয়ে খালের মতো হয়ে পড়ে। ফলে, এখানকার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। এমনকি বড় ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে না এবং পায়ে হেঁটে চলাচল করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।
রাস্তার পাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো
এই রাস্তাটির পাশেই রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে:
ডিমলা নিজপাড়া ফাজিল মাদ্রাসা
দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
দুটি কেজি স্কুল
একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
বর্ষাকালে রাস্তাটির অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, শিশু শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে এবং অনেক কষ্ট করে স্কুলে যাতায়াত করে। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার জন্য একাধিক সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং তারা অনেক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন।
এছাড়া এই রাস্তাটি দিয়ে এলাকার মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অন্যান্য জরুরি স্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু রাস্তাটির খাল হয়ে যাওয়ার কারণে রোগী, বয়স্ক মানুষ এবং অন্য যাত্রীদের হাসপাতালে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে। সময়মতো সেবা না পাওয়ার কারণে প্রিয়জনদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত এক বছর ধরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দেওয়া হলেও আজও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রশাসন জানিয়েছিল যে, দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হবে, কিন্তু বাস্তবে কাজ শুরুর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
এলাকাবাসী আজ একযোগে দাবি জানিয়েছে, রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হোক। তারা বলছেন, "এই রাস্তা আমাদের জীবনযাত্রার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শিশুদের স্কুলে যাওয়া, অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া — সবকিছু এই রাস্তার ওপর নির্ভরশীল।" এলাকা বাসী উপজেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এলাকার এক অভিভাবক বলেন
"আমার ছোট ছেলে প্রতি দিন কাদা মাখা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে স্কুলে যায়। বর্ষায় যে অবস্থা হয়, তা তো আমরা সহ্য করতে পারছি না। প্রশাসন যদি দ্রুত সংস্কার না করে, তাহলে আমরা কি করব?"
এলাকার এক নারী বলেন"এটা শুধু রাস্তায় কাদা-পানি নয়, এটা আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িত। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেলে বা জরুরি কাজে পৌঁছাতে না পারলে এর ভয়াবহতা কতটা হতে পারে, তা আমরা জানি।"
এলাকাবাসী আবেদন জানিয়েছেন, রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা হোক, যাতে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার সমস্যার সমাধান হয়, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া সহজ হয় এবং স্থানীয় ব্যবসায়িক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তারা বিশেষভাবে বর্ষার আগেই কাজ শুরু করার আবেদন জানিয়েছেন, যাতে তারা আগের মতো দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগের শিকার না হন।
ডিমলা উপজেলার এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এলাকাবাসীর জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দ্রুত সংস্কার না হলে ভবিষ্যতে এর প্রভাব আরও ভয়াবহ হতে পারে। প্রশাসনের কাছে জনগণের একটাই দাবি — এই রাস্তা দ্রুত সংস্কার করা হোক এবং এলাকার জনগণের চলাচলের জন্য উপযোগী করে তোলা হোক।