রিপন শাহরিয়ার, বেরোবি:
আজ ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫। স্বাধীনতার ৫৪ বছরের পথচলা শেষে ৫৫ বছরে পা রাখলো আমাদের মাতৃভূমি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন রাষ্ট্র স্বাধীন বাংলাদেশের। মহান এই দিবস উপলক্ষে আমি সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমাদের আত্মপরিচয় অর্জন ও পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গার দিন আজ। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পূর্তিতে আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার, খেতাবপ্রাপ্ত বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরবিক্রম, বীরপ্রতিকবৃন্দকে যাঁদের সাহসিকতা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ এবং লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।
স্বাধীনতার এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করি অকুতোভয় সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও, যাঁরা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে এ দেশকে মুক্ত করার জন্য অকাতরে প্রাণপাত করেছিলেন। বিনম্র চিত্তে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদ এবং সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে, যাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে কাঙ্খিত বিজয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভিযাত্রায় এক মহাসন্ধিক্ষণ অতিক্রম করছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। গত ১৬ বছরের বৈষম্য ও পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত হয় দ্বিতীয় স্বাধীনতা। এই দ্বিতীয় স্বাধীনতার অগ্রগামী সৈনিক হিসেবে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ। গত বছরের ১৬ জুলাই তাঁর আত্মত্যাগের বিনিময়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পথ সুগম হয়। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে দেশের মানুষ পায় কাঙ্খিত স্বাধীনতা। গত বছর জুলাই অভুত্থানে ছাত্র-জনতার বীরত্বে জাতি স্বৈরাচারের অত্যাচার-নিপীড়নের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে সকল শহীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের পথ ধরে তরুণ প্রজন্ম এখন স্বপ্ন দেখছে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনিমার্ণের। জাতি একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্পে উদযাপন করছে এ বছরের স্বাধীনতা দিবস। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামীতে সুখী, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে । এ ঐতিহাসিক দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী
উপাচার্য, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
Leave a Reply