আবু রায়হান, বিশেষ প্রতিনিধি।
ডাঃ শাহ মো. ইয়াকুব-উল-আজাদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন পরিচালক, একসময় ছাত্রলীগের নেতা এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা। সরকারি চাকরির মেয়াদে আওয়ামী দলীয় প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, তার মালিকানায় রয়েছে—ঢাকা: মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং এলাকায় শ্যামলী শিয়া মসজিদের পাশে ৬৬ কাঠা জমির ওপর নির্মিত তিনটি নয়তলা বিল্ডিং। খুলনা: রওশনারা ক্লিনিক নামের ছয়তলা ভবন। রংপুর: ধাপে ৫৩ শতক জমির ওপর এআর সিটি নামে নির্মাণাধীন ১৭ তলা ভবন। গ্রামের সম্পত্তি: রংপুরের পীরগঞ্জ ও গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে কয়েক শত একর জমি।
গাজীপুর: এক একর জমি।
অপরদিকে রংপুরের কয়েকজন ঠিকাদারের ৫/৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। টাকা চাইতে গেলে উল্টো মিথ্যা মামলাও দিয়েছেন ঐ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
সূত্র আরও জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থাকা ডাক্তার আজাদের স্ত্রীর নামে থাকা রংপুর ধাপের ভবনের কিছু অংশ সম্প্রতি বিক্রি করেছেন এবং কিছু অংশ তার ভাতিজার নামে হস্তান্তর করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার অন্যান্য সম্পত্তিও ধাপে ধাপে বিক্রি বা হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশে বিপুল সম্পদের মালিক হলেও, তিনি কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় তার জামাতার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে সম্পদ গড়ে তোলার বিষয়টি তার এক সময়ের ব্যবসায়িক অংশীদারদের কাছ থেকে জানা গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ডাক্তার ইয়াকুব-উল-আজাদ বর্তমানে খুলনায় আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের কারণে তিনি দেশ থেকে পালানোর চেষ্টাও করছেন বলে জানা গেছে। এই অভিযোগ সম্পর্কে জানতে, তার হোয়াটসঅ্যাপে লিখিত প্রশ্ন পাঠানো হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
ডাক্তার ইয়াকুব-উল-আজাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। দেশের জনগণের স্বার্থে এ ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
Leave a Reply