
ক্রীড়া প্রতিবেদক,
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করেছিল নোয়াখালী। জবাবে ৬ উইকেট হারালেও ১৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় রাজশাহী। দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় রাজশাহী। তানজিদ হাসান ও নাজমুল শান্তর ব্যাটে ৬৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ আসেন। তবে তানজিদ ২৯ রান করে এবং শান্ত ২৪ রানে আউট হন। এর মাঝে হোসাইন তালাতও মাত্র ৩ রান করে ফেরেন।
তবে এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি রাজশাহীর ব্যাটাররা। ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। শেষ পর্যন্ত মুশফিক ২৮ ও ইয়াসির ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশিদূর এগোতে পারেনি ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান ও মাজ সাদাকাতের জুটি। সোহান ৬ বলে ৫ রান করে ফিরলে পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান তোলে নোয়াখালী। ১৯ বলে ২৫ রান করে আউট হন মাজ সাদাকাত।
এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও অধিনায়ক হায়দার আলীর জুটিতে কিছুটা স্থিরতা আসে। তবে উইকেটে টিকে থাকাই ছিল কঠিন। অঙ্কন ২৭ বলে ২২ রান করে বিদায় নেন, হায়দার খেলেন ২৮ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নোয়াখালী।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করে দলটি। আর ১২ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান রানা।
রাজশাহীর হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন রিপন মণ্ডল, মাত্র ১৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া তানজিম হাসান সাকিব ২টি, আর হুসাইন তালাত ও বিনুরা ফার্নান্দো একটি করে উইকেট নেন।