ক্যাম্পাস ২৪ ডেস্ক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) রেজিস্ট্রারকে পদ ছাড়তে হুমকি দেওয়া ও তার অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুরের পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেন তারা।
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান তার অফিসে নাস্তা করার সময় ছাত্রদলের ১০-১২ জন নেতাকর্মী তার রুমে প্রবেশ করেন। রুমে ঢুকে তার সাথে খারাপ আচরণ করে এবং আগামীকাল থেকে অফিসে না আসতে হুমকি দেন তারা। পরে তারা রেজিস্ট্রারের টেবিলের উপর থাকা নাস্তার কাপ-পিরিচগুলো ভেঙে চলে যান। সরেজমিনে গিয়ে রেজিস্ট্রারের টেবিলের পাশে ভাঙা কাপ-পিরিচ দেখা গেছে।
রেজিস্ট্রার অফিস ছাড়াও তারা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর, অর্থ ও হিসাব শাখার কিছু দফতরে গিয়ে হুমকি ও সশব্দে দরজা জানালায় আঘাত করেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও তারা রেজিস্ট্রারের সহধর্মিণী অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-হিসাব পরিচালক রুবিনা আক্তারের অফিসের চেয়ারটি টেবিলের উপর তুলে রেখে যান। তবে এসময় রুবিনা আক্তার অফিসে ছিলেন না। শাখা ছাত্রদলের সাহেদ আহম্মেদের নেতৃত্বে এসব ভাঙচুর ও হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। বিভিন্ন অফিসে ভাঙচুর ও হুমকি প্রদান শেষে তারা স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণসহ ৯ দফা দাবি নিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন।
ভাঙচুরের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ১০-১২ জন হঠাৎ রুমে প্রবেশ করে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় বলে- তুই এখনো এখানে বসে আছিস কেন? কালকেই এখান থেকে সরে যাবি, না হলে পরিণতি আরও খারাপ হবে। পরে তারা কাপ-পিরিচগুলো ভেঙে চলে যায়।
ইবির প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন, ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী আমার রুমের সামনে এসে চেঁচামেচি করেছে এবং আমাকে শাসিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, এসব বিষয়ে আমার মন্তব্য নেই। খোঁজখবর নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।