1. mtim30408@gmail.com : Khondokar Rakibul : Khondokar Rakibul
  2. admin@campus24.news : campus24news :
  3. khondokarrakibit5@gmail.com : Khandkar Rakibul Islam : Khondokar Rakibul Islam
  4. mdnajmulhasan8652@gmail.com : mdnajmulhasan hasan : mdnajmulhasan hasan
  5. mdriponsaharia@gmail.com : mdriponsaharia saharia : mdriponsaharia saharia
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নারী নেতৃত্বে স্টেম শিক্ষার অগ্রযাত্রা: শেষ হলো ‘বিএসসিএফ স্টেম লিডার্স প্রোগ্রাম ২০২৫’ জবির ভর্তি পরীক্ষা হবে চার শহরে এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল রবিবার সকালে, দেখবেন যেভাবে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের কৃষি গুচ্ছের ভর্তির আবেদন শুরু ২৫ নভেম্বর মামলার এজাহার ৯ ছাত্র যৌন নিপীড়নের শিকার ঢাবির সেই অধ্যাপকের ইবিতে লালন শাহ হল প্রভোস্টের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা ২১ ডিসেম্বর; বাড়ানো হয়েছে আবেদন ফি, আসন সংখ্যায়ও পরিবর্তন রাবি হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফোরামের নেতৃত্বে সুজন-মিনহাজুর মাধ্যমিকের তিন শ্রেণির বই ছাপার চুক্তিই হয়নি, জানুয়ারিতে নতুন বই পওয়া নিয়ে শঙ্কা

মামলার এজাহার ৯ ছাত্র যৌন নিপীড়নের শিকার ঢাবির সেই অধ্যাপকের

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১২ বার পাঠ করা হয়েছে

দীর্ঘদিন ধরে নয় পুরুষ শিক্ষার্থীকে বিভিন্নভাবে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন।

আজ শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ওসি সাজ্জাদ রোমন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়ায় ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে সমকামিতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি জানান, এ মামলায় তাকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে তোলা হবে।

মামলার এজহার থেকে জানা যায়, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মোট নয়জন পুরুষ শিক্ষার্থী এজহারে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭-১৮ সেশন, ১৮-১৯ সেশন, ২০-২১ সেশন এবং ২২-২৩ সেশনের তিনজনসহ মোট ছয়জন শিক্ষার্থী। পাশাপাশি রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের দুই শিক্ষার্থী এবং ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের একজন শিক্ষার্থীও অভিযোগ করেছেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর শেওরা পাড়ার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। বর্তমানে তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, উনাকে (এরশাদ হালিম) থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেলে সমস্যা নেই। আর যেহেতু উনি ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন, তাই এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতির দরকার নেই। তবে আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি।

এদিকে ভুক্তভোগীদের মধ্যকার এক শিক্ষার্থীর ভাষ্যমতে, ‘আমি রসায়ন বিভাগের একজন ছাত্র। আমার পরীক্ষায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ড: এরশাদ হালিম’ নিজের বাড়িতে ডাকেন এবং আমাকে আশ্বস্ত করেন, তিনি সমস্যার সমাধান করে দেবেন। আমি পরবর্তীতে বাসায় যাই এবং তিনি বলেন, তিনি নাকি অনেক অসুস্থ আর তিনি বলেন তার নার্ভে কিছু সমস্যার কারণে তিনি মেয়েদের স্পর্শে কোনো অনুভূতি পায় না, এজন্য তার স্ত্রী তার সঙ্গে থাকে না। ছেলেদের হাত শক্ত হওয়ায় তিনি ছেলেদের স্পর্শে অনুভূতি পান। এগুলো বলার পর তিনি রুমের লাইট বন্ধ করেন এবং দরজা জানালা বন্ধ করেন। পরবর্তীতে ‘তিনি নিজের বিছানাতে আমাকে আসতে বলেন এবং তার গায়ে ম্যাসেজ করে দিতে বলেন, আমিও তার কথা অনুযায়ী এগুলো করতে বাধ্য হই। পরবর্তীতে উনি আমার গায়ের স্পর্শকাতর অংশে হাত দিতে থাকেন এবং আমাকে আমার পেনিস ধরে অমানবিক নির্যাতন চালান এবং এগুলো কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।’

‘পরের দিন আমার তার বাসায় যাওয়ার কথা ছিল, উনি প্রক্টরের সাথে আমার ঐ ঝামেলা মিটমাট করে আমাকে বিকালের শিফটে পরীক্ষা দেওয়ানোর কথা বলে শেষবারের মতো বাসায় ডাকেন এবং পুনরায় অমানবিক নির্যাতন চালান। পরবর্তীতে আমি আমার গ্রামের বাড়িতে চলে যাই এবং তার বাসায় পুনরায় না যাওয়ার কারণে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। পরবর্তীতে আমি ঢাকায় আসার পর আবার উনি আমাকে তার বাসায় ডাকে এবং আমি যাওয়ার জন্য অসম্মতি জানাই, পরবর্তীতে উনি পরীক্ষার ঘটনা আমার বাসায় জানিয়ে দেবেন বলে ভয়ভীতি দেখান এবং আমার বাবা তো অসুস্থ, উনি আমার পরীক্ষার ঝামেলা এসব শুনলে মারা যাবেন এসব ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আমাকে উনার বাসায় রাত ১২টার দিকে যেতে বাধ্য করেন এবং আমি তার বাসায় যাওয়ায় বিলম্ব করায় আমাকে মারধর করেন। পরবর্তীতে আবার একই কাজ শুরু করেন কিন্তু এদিন উনি বেশি ভয়ানক হয়ে ওঠেন এবং ‘আমার জামা প্যান্ট সব খুলতে বলেন, ‘আমি না খুলতে চাওয়ায় আমাকে পুনরায় মারধর শুরু করেন। পরবর্তীতে আমি বাধ্য হই খুলতে এবং উনি আমার যৌনাঙ্গ এবং অন্ডকোষ ধরে চাপাচাপি শুরু করেন— তার চাপাচাপি ছিল অমানবিক এবং আমাকে উনি বলেন, ‘আমি তোমার মাস্টারবেশন করে দেবো’, এতে আমি রাজি না হওয়ায় উনি আবার আমার যৌনাঙ্গ ধরে অনেক জোরে একটা চাপ দেন, আমি ব্যথা সহ্য না করতে পেরে কিছুক্ষণের জন্য অজ্ঞান হয়ে যাই এবং পরবর্তীতে ব্যথায় ছটফট করতে থাকি, আমার মনে হচ্ছিল আমি মনে হয় বাঁচব না। এজন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে শুরু করি। উনি তাতে থামেনি। উনি বলেন, আমি নাকি নাটক করছি, এই কথা বলেই আবার চাপাচাপি শুরু করেন এবং একপর্যায়ে আমি পুনরায় ব্যথায় অজ্ঞান হয়ে যাই এবং এরপরের কোনো ঘটনা আমার মনে নাই।’

‘সকালে যখন আমার জ্ঞান ফিরে আমার অন্ডকোষ অনেক ফুলে ছিল, আমি ঠিকমতো হাটতেও পারছিলাম না, উনি আমাকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাসে করে আমার হলের গেটে নামিয়ে দেন এবং কাউকে কিছু না বলার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। পরবর্তীতে আমার অন্ডকোষের ব্যথা অনেক বাড়তে থাকে এবং ফুলে যেতে থাকে, আমি ব্যাথাতে বিছানা থেকে উঠতে পারছিলাম না এবং টিউশনে যেতে পারছিলাম না, প্রচণ্ড  আর্থিক সমস্যার কারণে ঔষধ কিনতে এবং ডাক্তার দেখাতে যেতে পারছিলাম না। আবার এই ঘটনা কাউকে বলার মতো সাহসও পাচ্ছিলাম না। আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি এবং ছাদ থেকে লাফও দিতে গিয়েছিলাম, কিন্তু অসুস্থ বাবা-মায়ের কথা চিন্তা করে আমি এটা করতে পারি নাই। উনি পরবর্তীতে আমাকে ফোন দেন এবং ব্যথা থাকা অবস্থায়ই উনার বাসায় যেতে বলেন, নাহলে আমার নাকি এটার পরিণাম ভোগ করা লাগবে। আমি এটা শোনার পর অনেক কান্না করি এবং ফোন বন্ধ করে হল থেকে চলে যাই। উনি পরবর্তীতে আমার ফোন বন্ধ পেয়ে আমার হলের আমার রুমে চলে আসেন। আমার রুমমেটদের ফোন নম্বর নিয়ে যান, পরবর্তীতে উনাদের ফোন দিয়ে আমাকে তার রুমে যেতে বলেন। কিন্তু আমি পরবর্তীতে উনার সাথে কোনো যোগাযোগ রাখি নাই। উনি বর্তমানে আমাদের একটি কোর্সের শিক্ষক এবং এজন্য আমি উনার ক্লাস করতে ভয় পাচ্ছি এবং উনার ক্লাস করা থেকে বিরত আছি৷’

একই বিভাগের আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ‘আমার পরীক্ষাসংক্রান্ত কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে এরশাদ হালিম এর পরামর্শ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করি, তখন তিনি আমাকে তার বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন এবং বিগত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আনুমানিক ৮টার দিকে তার বাসায় যাই। সেখানে উনি আমাকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে আমাকে আবার বাসায় ডাকেন এবং রাত ৭:৪৫ এ আমি তার বাসায় যাই। তার রুমে আমার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর উনি আমাকে রুমের দরজা বন্ধ করতে বলেন এবং এরপরে রুমের লাইট অফ করতে বলেন। আমি সেটাই করলাম। এরপরে উনি আমাকে শার্টের বোতাম খুলে ফেলতে বলেন এবং বেডে তার পাশে শুয়ে পরতে বলেন। তখন উনি আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেন এবং আমাকে বলেন, তার হাত আর শরীর টিপে দিতে। আমাকে খুবই কাছে নিয়ে আমার শরীরের গায়ে, পিঠে, পেটের নিচে প্রায় সব জায়গায় হাত দেন, আমি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি, আমি চলে আসতে চাইলে, আমাকে বাধা দিয়ে বলেন, আরো ১০ মিনিট থাকো, এরপরে উনি আমার পেটে আর এবং পেটের নিচে এবং আমার যৌনাঙ্গের উপরেও হাত দেন।’

‘শরীরের নিচের অংশে প্যান্টের উপরের হাত দিয়ে স্পর্শ করেন, পরবর্তীতে আমাকে খুবই কাছে নিয়ে আমার শরীরের গায়ে, পিঠে, পেটের নিচে প্রায় সব জায়গায় হাত দেন, আমি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি, আমি চলে আসতে চাইলে, আমাকে বাধা দিয়ে বলেন, আরো ১০ মিনিট থাকো, এরপরে উনি আমার পেটে আর এবং পেটের নিচে এবং আমার যৌনাঙ্গের উপরেও হাত দেন। শরীরের নিচের অংশে প্যান্টের উপরের হাত দিয়ে স্পর্শ করেন, পরবর্তীতে যে আমার যৌনাঙ্গে সরাসরি হাত দিতে চাইলে আমি বাধা দিয়ে দ্রুত চলে আসি। পরবর্তী সময়ে তিনি বিভিন্ন সময় ফোন আর মেসেজ দেন। এই ঘটনার পরে আমি মানসিক ভাবে অত্যন্ত হীনম্মন্যতায় ভুগছি এবং বর্তমানে একটি কোর্সের শিক্ষক হিসেবে উনি নিয়োজিত থাকায় আমি স্বাভাবিকভাবে ক্লাস করা বা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি না।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৫  
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি