1. mtim30408@gmail.com : Khondokar Rakibul : Khondokar Rakibul
  2. admin@campus24.news : campus24news :
  3. khondokarrakibit5@gmail.com : Khandkar Rakibul Islam : Khondokar Rakibul Islam
  4. mdnajmulhasan8652@gmail.com : mdnajmulhasan hasan : Md. Najmul Hasan
  5. mdriponsaharia@gmail.com : mdriponsaharia saharia : mdriponsaharia saharia
মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ইবি প্রশাসনের শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোকবার্তা নেতানিয়াহুর সঙ্গে ‍বৈঠকের পর ইরানে হামলার হুমকি ট্রাম্পের, হামাসকেও হুঁশিয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ইবির নিয়োগ বোর্ড স্থগিত হ্যাটট্রিক হার নোয়াখালীর, টানা ২ জয়ে শীর্ষে রাজশাহী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের শোক হাতজোড় করে একবার সুযোগ চাইলেন মোদি রাজনৈতিক সাফল্যের কারণেই খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন: প্রধান উপদেষ্টা জকসু নির্বাচনে ভোট টানতে টাকার ছড়াছড়ি ছাত্রদলের, জিএস–এজিএস পদপ্রার্থীর স্বীকারোক্তি 

সাজিদ হত্যার ১৪৫ দিনেও নেই বিচার: মানববন্ধনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১১৯ বার পাঠ করা হয়েছে

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন— জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইবি ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান, জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, গ্রীন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দীনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

এছাড়াও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুফ আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক এস এম সুইট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, তালাবায়ে আরাবিয়ার সেক্রেটারি শামীম, শিক্ষার্থী বোরহান উদ্দিনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, “আজ ১৪৫ দিন হয়ে গেল, অথচ হত্যার কোনো বিচার নেই। আমরা আমাদের মনের কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আপনারা যদি বিচার করতে না পারেন, সেটা স্পষ্ট করে বলুন। আজ আমি বা আপনি খুন হলে কি আমাদের পরিবার ন্যায়বিচার পাবে? আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা আমাদের ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।”

জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, “এটি প্রমাণিত যে সাজিদকে হত্যা করা হয়েছে। যদি প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখত, তবে তদন্তকারী সংস্থার ওপর চাপ প্রয়োগ করা হতো। সাজিদের বাবা-মা আজও ন্যায়বিচারের আশায় দিন গুনছেন। যেদিন আমরা খুনিদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে দেখব, সেদিনই প্রকৃত শান্তি পাব।”

ইবি ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে—এটা আমরা কখনো ভাবিনি। সাজিদ নিজেও একজন জুলাই যোদ্ধা ছিল। একজন শিক্ষক হিসেবে আমরা চুপ থাকতে পারি না। ফ্যাসিস্ট আমলেও আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। আজও আমাদের একটাই দাবি—অনতিবিলম্বে খুনিদের বিচার।”

সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, “১৪৫ দিন পার হয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। হয় ইচ্ছাকৃতভাবে বিচার বিলম্ব করা হচ্ছে, নয়তো প্রশাসন ব্যর্থ। প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে অপরাধীদের শনাক্ত করতে এত সময় লাগার কথা নয়। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে সবসময় আছি।”

জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্র মাটিতে একজন কুরআনের হাফেজকে হত্যা করা হয়েছে। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন দ্রুত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট জমা দিয়েছিলাম। অথচ ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও খুনিদের ধরা হয়নি। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন উঠছে—আদৌ কি বিচার হবে? জুলাইয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেমন শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, আজও বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের সঙ্গেই থাকব।”

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই একই পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভিসেরা রিপোর্টে শ্বাসরোধে হত্যার প্রমাণ মেলে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে ব্যাপক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুকুরটিকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির তদন্তাধীন রয়েছে। আগামীকাল সাজিদ হত্যার মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে সিআইডি ব্রিফিং করবেন বলে জানা যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৫  
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি